কক্সবাজারের টেকনাফে দুই যুবককে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ,হাত বদলের সময় দুই অপহরণকারীসহ অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার করেছে টেকনাফ থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নির্দেশে এসআই সনজীব কুমারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফোর্স পৌরসভার শাপলা চত্বরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে।আসে।
আটককৃত পাচারকারীরা হলেন-রামু রশিদ নগরের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২০) ও একই এলাকার ছালেহ আহমদের ছেলে মো. হাসান (২৫)।
উদ্ধার ভিকটিমরা হলেন, মো. আকাশ(২১) রহমত উল্লাহ (১৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতদের তথ্যের।ভিত্তিতে অপহরণকারীদের টর্চারসেল খ্যাত সাবরাং নয়াপাড়া বাজারস্থ আবুল ফয়েজের টমটম গ্যারেজে পুলিশ অভিযানে নামে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চিহ্নিত অপহরণকারী মোঃ লালুসহ চক্রের অপরাপর সদস্যরা পালিয়ে যায়। ঐসময় ঘটনাস্থল থেকে অপহৃতদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও কাপড়চোপড় জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন এসআই সনজীব কুমার।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছন, সবধরনের অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স অনুসরণ করে আসছে। বাকী আসামিদের ধরতে পুলিশের অব্যহতের পাশাপাশি আটককৃত আসামি আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে।জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে গোপন সংবাদে খবর ছিলো এক রোহিঙ্গা ও স্থানীয় আরো একজন যুবক কে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে পাচারকারীরা বন্দি করে রাখেন। এমন তথ্যে পেয়ে পুলিশের টিম টেকনাফ শাপলাচত্বর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুই যুবককে উদ্ধার সহ পাচারকারী দলের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। এদের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের আটকে পুলিশের টিম অভিযান পরিচালনা করছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,টেকনাফ সাবরাং নয়াপাড়া ও সদর ইউনিয়নের মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে লোক এনে তাদের বন্দি শালায় বেঁধে রাখেন।
গত দুইদিন আগে কক্সবাজার পাহাড়তলী এলাকা থেকে মিশুক গাড়ীর ড্রাইভার মো. আকাশ ও হেলপার রহমত উল্লাহ নামের দুই যুবককে একটি বন্দিশালায় আটক রেখে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য পাচার করতে চেয়েছিলো।
পাঠকের মতামত